করোনার ভুক্তভোগী বিশ্বের প্রায় ৪ কোটি মানুষ 

প্রকোপ দেখা দেয়ার দশমাস পার করছে মহামারি করোনা ভাইরাস। তবে কার্যকরি ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হওয়ায় এখনও প্রতিদিনই তিন লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসটির শিকার হচ্ছেন। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ছুঁতে চলেছে।  প্রাণ হারিয়েছেন ১১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। 

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৫১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ ঝরেছে ৫ হাজার ৫৬৮ জনের। এ নিয়ে  মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ ১৪ হাজার ১৯৭ জনে ঠেকেছে। যদিও সুস্থতা লাভ করেছেন ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮১ হাজার ৩৩ জন রোগী। 

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম মানবদেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর দেশটিতে এ ভাইরাসে অস্বাভাবিকভাবে প্রাণহানি ঘটে। এর পরপরই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপের দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ মাত্রা ছাড়ায়। সে সব দেশে করোনা ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে এখনও ক্রমশ বেড়েই চলছে কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রাণহানি। ১১ মার্চ করোনাকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

এর মধ্যে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৮৩ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ২৮২  জনের।  

সংক্রমণের নিরিখে দুইয়ে থাকা ভারতে গত একদিনে করোনা হানা দিয়েছে ৬২ হাজারের বেশি মানব দেহে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৪ জনের। 

প্রাণহানির তালিকায় দুই নম্বরে অবস্থান করা ব্রাজিলে সংক্রমিত ৫২ লাখ ২৪ হাজার ৩৬২ জন। প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯০ জনে ঠেকেছে। 

এছাড়া, রাশিয়া, কলম্বিয়া, স্পেন, আর্জেন্টিনা, পেরু,  মেক্সিকো, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, ইরাক, ইরান ও চিলিতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা। 

এদিকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৫ হাজার ৬৪৬ জনের।
এআই/এসএ/